আন্তর্জাতিক ডেস্ক: তাইওয়ান ইস্যুতে কখনো কোনো আপস করবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে চীন। তাছাড়া স্ব-সাশিত দ্বীপটিকে আবারও নিজের অংশ বলে দাবি করেছে বেইজিং। মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে সামরিক আলোচনা শেষে এক বিবৃতিতে এসব বিষয় তুলে ধরেন চীনা কর্মকর্তারা।
কয়েকদিন পরই তাইওয়ানে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনের উপর বেইজিং-ওয়াশিংটন উভয়েরই সজাগ দৃষ্টি রয়েছে। কারণ এবারের নির্বাচনই তাইওয়ানকে চীনের সঙ্গে এক করতে পারে আবার দূরেও সরিয়ে নিয়ে যেতে পারে। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই এমন হুঁশিয়ারি দিলো চীন।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২১ সালের পর এই প্রথম যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সামরিক আলোচনায় বসে চীন। সোমবার ও মঙ্গলবার ওয়াশিংটনে এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে তাইওয়ান নিয়ে আপোস না করার পাশাপাশি, সেখানে অস্ত্র না দিতে ও দ্বীপটি ঘিরে চীনের উদ্বেগের বিষয়টিও গুরুত্বের সঙ্গে নিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বানও জানিয়েছে বেইজিং।
তাইওয়ান থেকে দক্ষিণ চীন সাগরের বিস্তৃত অংশে বেইজিংয়ের দাবি কেন্দ্র করে ২০২২ সাল থেকে চীন-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বেশ বিরোধ চলে আসছে। তবে গত বছরের নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্র সফর করেন চীন প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। সেখানে জো বাইডেনের সঙ্গে আলোচনার পর উভয় পক্ষ উত্তেজনা কমাতে পুনরায় আলোচনা শুরু করতে রাজি হয়।
মঙ্গলবার প্রথম ধাপের আলোচনা শেষে বুধবার (১০ জানুয়ারি) চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চীন সমতা ও সম্মানের ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভালো ও স্থিতিশীল সামরিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে চায়। আবার যুক্তরাষ্ট্রকে দক্ষিণ চীন সাগরে তার সামরিক উপস্থিতি ও উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড কমাতে তাগিদ দিয়েছে চীন।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র আইনিভাবে তাইওয়ানকে আত্মরক্ষার উপায় সরবরাহ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে। অন্যদিকে, স্ব-শাসিত দ্বীপটিকে নিজের সঙ্গে একত্রীকরণে শক্তি প্রয়োগের বিষয়টি অস্বীকার করেনি বেইজিং।
তাইওয়ানকে নিজেদের ভূখণ্ড বলে দাবি করে আসছে চীন। অন্যদিকে নিজেদের চীনের এ দাবিকে অস্বীকার করে আসছে তাইওয়ান। বিষয়টি নিয়ে দুই অঞ্চলের মধ্যে উত্তেজনা চলমান রয়েছে। তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন বলেন, চীনের সঙ্গে তাইওয়ানের একত্রীকরণের বিষয়টি অবশ্যই জনগণের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে হবে।
সূত্র: আল জাজিরা